প্রকাশিত: ১০:৫৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০২২
ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ
বাংলাদেশ একটু ভালো অবস্থানের দিকে গেলে নানা রকম শঙ্কা সৃষ্টি এবং চক্রান্ত শুরু হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মাঝে মাঝে এটাই শঙ্কা হয়, আজকের বাংলাদেশকে যে আমরা উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, উন্নয়নশীল দেশ গড়ে তুললাম। জাতির পিতার রেখে যাওয়া স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়ে গেছি। আর এই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য যখন পরিবর্তন হয় এবং একটু ভালোর দিকে যায়, তখনই নানারকম শঙ্কার সৃষ্টি হয় এবং তখন এটাকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য নানারকম চক্রান্তও শুরু হয়ে যায়।
করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে টালমাটাল বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ এই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধের ফলে এবং তারপরে স্যাংশন এবং পাল্টা স্যাংশন। এর ফলে দেখা গেল আমাদের কেনার সামর্থ্য থাকতেও ক্রয় ক্ষমতার বাইরে সবকিছু চলে গেল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে শুরু করলেন তখনই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যখন আসলে দেশটা অগ্রগতির পথে অগ্রযাত্রা শুরু হলো তখনই আঘাতটা এলো।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নেই যে এ রকম একটা যুদ্ধের পর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে অর্থনীতির চাকা ঘুরে দাঁড়িয়ে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা পায়। উন্নয়নের পথে যখন অগ্রযাত্রা শুরু হলো তিনি (বঙ্গবন্ধু) দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচির ডাক দিলেন, ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া- উন্নয়নটা যেন সেই তৃণমূল থেকে প্রত্যেক এলাকায় কারণ মহকুমাগুলোকে জেলা করে দিয়ে তিনি যেভাবে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। প্রতিটি জেলার সার্বিক উন্নয়নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন সে জেলার মানুষের হাতে। যাতে করে সঠিক উন্নয়নটা হয় এবং উন্নয়নের সুবিধা যেন সাধারণ মানুষ পায়।
শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা যদি লক্ষ্য করেন ৭২ সাল ৭৩ সালে কিন্তু দুর্ভিক্ষ হয়নি, দুর্ভিক্ষ হলো ৭৪ সালে। নগদ অর্থ দিয়ে কেনা খাদ্যের জাহাজ কিন্তু বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হয় নাই। তার ওপর যুদ্ধের পরপরই কোনো সময় তো তাকে কেউ দেয়নি। সেখানে নানা ধরনের প্রচারণা ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ এমন… এমনকি আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রতিনিধি তাদেরকে হত্যা শুরু হলো।
নির্বাহী সম্পাদক ও প্রকাশক – তৌফিকুল আম্বিয়া টিপু
বার্তা সম্পাদক- হুমায়ূন কবীর ফরীদি
বাংলাদেশ কার্যালয়- কলকলিয়া বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগন্জ।
প্রধান কার্যালয়- ৮২৪ মেইন স্রীট, মেনচেষ্টার, কানেকটিকাট- ০৬০৪০, যুক্তরাষ্ট্র।
ফোনঃ ০১৭১৭৯৩১৬৫৮(বিডি) +১৮৬০৭৯৬৭৮৮৮(ইউএসএ)
ইমেইলঃ usbanglabarta@gmail.com
Design and Developed by Web Nest