প্রকাশিত: ৬:৪১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০২৫
ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। এ তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহেদ কামাল। আজ বেলা পৌনে ৫টার দিকে মাইলস্টোনের দুর্ঘটনা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের সময় তিনি এ তথ্য জানান।
আজ দুপুরের সোয়া ১টার দিকে স্কুলভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়ন করে। পরে বিধ্বস্ত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, আপনারা সবাই জানেন আজকে বিমান বাহিনীর একটি এফ সেভেন বিজেআই ফাইটার এয়ারক্র্যাফট আনুমানিক একটার দিকে আমাদের মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উত্তরা শাখার দোতলা স্কুল ভবনে ক্র্যাশ ল্যান্ডিং করেছে। এই দোতলা ভবনের প্রথম তলায় ছিল তৃতীয় শ্রেণি ও চতুর্থ শ্রেণির বাচ্চাদের ক্লাস। দ্বিতীয় তলায় ছিল দ্বিতীয় শ্রেণি ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস। তার সাথে ছিল প্রিন্সিপালের (অধ্যক্ষের) অফিস মিটিং রুম। একটা কোচিংয়ের ক্লাস চলমান ছিল। ক্র্যাশ ল্যান্ডিং যখন হয় তখন স্কুল ছুটি হয়ে গিয়েছিল এবং ওই সময় যে জায়গায় টিচার্স রুমের সাথে যে ল্যান্ডিংটা হয় আঘাত করে ওই জায়গায় বাচ্চাকাচ্চারা জড়ো হয়েছিল এবং তাদের সাথে হয়তো কিছু অভিভাবকও ছিল।
ফায়ার ফার্ভিস আনুমানিক বেলা ১টা ৮ মিনিটে দুর্ঘটনার খবর পায় জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘দ্রুত আমাদের ইউনিট পৌঁছে যায় এবং উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। আমাদের মোট নয়টা ইউনিট এখানে কার্যক্রম করেছে। বর্তমানে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপন অবস্থায় আছে এবং আমরা উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছি।’
হতাহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের হিসাব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত আমরা ১৯ জনের ডেড বডি উদ্ধার করেছি। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে আছে। এখানে সেনাবাহিনী এবং আমাদের ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশসহ অন্যান্য সবাই মিলে আমাদের সহযোগিতা করেছে, আমাদের উদ্ধার কাজ চলমান আছে। উদ্ধার কাজ শেষ হলে আমরা টোটাল ক্ষয়ক্ষতির ফিগারটা আপনাদেরকে বলতে পারব।’
আহতের সংখ্যা ৫০ জনের উপরে হবে জানিয়ে মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ‘যারা নিহত এখনো তাদের পরিচয় আমরা জানতে পারিনি, সময় লাগবে। আমাদের ধারণা অধিকাংশই বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
ঘটনাস্থলে থাকা প্রথম আলোর প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান বিকেল ৪টার দিকে জানিয়েছিলেন, মাইলস্টোন কলেজের সামনে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। কলেজের বিধ্বস্ত ভবন থেকে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স বের হচ্ছে। এখন সেখান থেকে আহতদের জন্য রক্ত দেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।
সূত্র প্রথম আলো
US BANGLA BARTA is proudly powered by WordPress