জগন্নাথপুরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন 

প্রকাশিত: ৬:০১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০২৪

জগন্নাথপুরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন 

Manual4 Ad Code
হুমায়ূন কবীর ফরীদি ##
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও  বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে জগন্নাথপুরে আলোচনা সভা, জয়ীতাদের সংবর্ধনা প্রদান ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
” নারী কন্যার সুরক্ষা করি,সহিংসতা মুক্ত বিশ্ব গড়ি”শ্লোগানকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস -২০২৪ ইং উদযাপন উপলক্ষে “জয়ীতা অন্বেষণে বাংলাদেশ ” কার্যক্রম এর আওতায়  সুনামগঞ্জের  জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৯ ই ডিসেম্বর রোজ সোমবার দুপুরে  উপজেলা পরিষদ এর হলরুমে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বরকত উল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও মাওলানা নিজাম উদ্দিন জালালীর পরিচালনায় আলোচনা সভা উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়ীতাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি আবু হুরায়রা ছাদ মাষ্টার, জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) জয়নাল হোসেন, জগন্নাথপুর  প্রেসক্লাবের  সভাপতি তাজ উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হাসান সুনু, জগন্নাথপুর  উপজেলা প্রকৌশলী ( এলজিইডি) সোহরাব হোসেন, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ খালেদ সাইফুল্লাহ, উপজেলা তথ্যসেবা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সালমা হক কলি, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মুহিবুর রহমান, উপজেলা জমিয়তের সহ সভাপতি হাসমত উল্লাহ খান, সাংবাদিক শাহ্ ফুজায়েল আহমদ ও জগন্নাথপুর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণার্থী  প্রিয়া দাস।
অনুষ্ঠানে ৩ টি ক্যাটাগরিতে ৩ জন জয়িতাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে, তারা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নারী ক্যাটাগরিতে লাভলী রানী দাশ  ; নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে উঠে দাঁড়িয়েছেন যে নারী ক্যাটাগরিতে রুজনা বেগম; সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান  রেখেছেন যে নারী ক্যাটাগরিতে  ইয়ারুন নেছা’কে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বরকত উল্লাহ  বলেন, নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার দেখানো পথে আজ নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের সাক্ষর রাখছেন। নারী পুরুষের সহাবস্থানই দেশকে এগিয়ে নিতে পারবে। তিনি আরো বলেন, ব্যক্তিগতভাবে মনে করি পুরুষের চেয়ে নারীরা শক্তিশালী। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি, মায়ের সম্মান বলেই যুদ্ধ করেছি। বাবা চাকুরী করলে অবসর হয়। কিন্ত মায়ের কখনো অবসর হয় না। বিয়ের পর থেকে যে চাকরি শুরু হয় মৃত্যু আগ পর্যন্ত থাকে। পরিশেষে তিনি বেগম রোকেয়ার অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ


Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code