প্রকাশিত: ১:০৯ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৩, ২০২৫
ছবি: নিউইয়র্ক টাইমস
ইউএস বি ডেস্কঃ
রাশিয়ার ভেতরের দূরপাল্লার জ্বালানি অবকাঠামোর লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কিত গোয়েন্দা তথ্য ইউক্রেনকে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে থাকবে তেল শোধনাগার, পাইপলাইন ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো জায়গা। ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো, রাশিয়ার তেলের আয়ের উৎস দুর্বল করা।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিতে প্রথম বড় কোনো পরিবর্তন। সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পরই তিনি এ-সম্পর্কিত নির্দেশনায় স্বাক্ষর করেন। আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করে। তবে এখন সেটা হবে আরও নির্দিষ্টভাবে, যেন ইউক্রেন সহজে এসব স্থাপনায় আঘাত করতে পারে।
এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো মিত্রদেরও একই ধরনের তথ্য সহায়তা দিতে বলেছে। ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে চাপ দিচ্ছেন যেন তারা রাশিয়ার জ্বালানি তেল কেনা বন্ধ করে। এর বিনিময়ে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাচ্ছেন।
এদিকে, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার পাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র চাচ্ছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেন থেকে ছোড়া হলে সহজেই মস্কোসহ রাশিয়ার বড় অংশে আঘাত হানতে পারবে। ইউক্রেন নিজেও ফ্ল্যামিঙ্গো নামের একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি শুরু করেছে, তবে সংখ্যায় তা এখনও খুব কম।
ট্রাম্পের অবস্থান বদল
যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন আসার অল্প কিছুদিন আগেই ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘রাশিয়ার অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো দেখে আমি মনে করি, ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা নিয়ে তাদের দখলকৃত সব এলাকা ফেরত পেতে এবং জয়ী হতে সক্ষম।’ এটিকে ইউক্রেনের পক্ষে তাঁর সবচেয়ে বড় সমর্থনমূলক মন্তব্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে জাতিসংঘে রুশ রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, ট্রাম্প দ্রুত সমাধান খুঁজতে চান, কিন্তু এ যুদ্ধে তা সম্ভব নয়।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিলেও যুদ্ধক্ষেত্রে তাতে বিশেষ পরিবর্তন আসবে না।
রাশিয়ার যুদ্ধের সবচেয়ে বড় অর্থের উৎস হলো তেল ও গ্যাস রপ্তানি। তাই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এখন এটাকে প্রধান লক্ষ্য বানাচ্ছে। ট্রাম্প ভারতের ওপরও অতিরিক্ত শুল্ক বসাচ্ছেন, যেন তারা সস্তায় রুশ তেল কেনা বন্ধ করে। একইভাবে তিনি তুরস্ককেও রাশিয়ার তেল কেনা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।
এদিকে জি৭ দেশের অর্থমন্ত্রীরা ঘোষণা দিয়েছেন, যেসব দেশ রুশ তেল কিনছে বা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তা বিক্রি করছে, তাদের ওপর একসঙ্গে চাপ বাড়ানো হবে। সুত্রঃ সমকাল অনলাইন
US BANGLA BARTA is proudly powered by WordPress