প্রকাশিত: ১১:০১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০২৫
বিশেষ প্রতিনিধি:
হবীগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার হাজীগঞ্জ পুরাতন মেলার বাজার ১৯৭১ সালে স্থাপিত হওয়া অত্র এলাকার সুনামধন্য পশুর হাট প্রায় ৫৪ বছর নানান সমস্যা থাকার পর এলাকার জনসাধারনে চেষ্টায় দীর্ঘ দিন পরে জমজমাট হয়ে উঠেছে। ক্রেতা বিক্রেতাদের পথচালনায় হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেয়েছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাট ভর্তি বিভিন্ন জাতের দেশীয় ছোট, মাঝারি ও বড় জাতের অসংখ্য গরু উঠেছে, হাটে ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পশুর হাটে আসা অধিকাংশ ক্রেতাই স্থানীয়ভাবে খামারে লালন-পালন করা দেশি গরুই পছন্দ করছেন। অনেক ক্রেতা মনে করছেন দীর্ঘ দিন পর এই বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসী চেষ্টায় হারিয়ে যাওয়া গরুর বাজার ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে উৎসাহ দেখা গেছে। বিশাল জায়গা নিয়ে গাছের নিছে শান্ত পরিবেশে পশুর বাজার হওয়ায় অনেকেই এই বাজারে গরু, ছাগল বিক্রয় ও ক্রয় করতে আসছেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে থাকায় পশু গুলো ক্রয় করে যাতায়াত করতে অনেক সুবিধা রয়েছে। গত কয়েক বাজারের চেয়ে এই হাটে গরুর সরবরাহ বেড়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ হাটে এলেও দর-দাম করে তাদের পছন্দের গরু কিংবা ছাগলটি ক্রয় করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। সেই সাথে বাজারে বড় গরুরও কমতি নেই। তবে ছোট ও মাঝারি জাতের গরুর চাহিদা বেশি।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী ডাক্তার ছাঁদ আলী জানান, এখানে শুধু ছোট সাইজের গরুগুলো আসে না সবধরনের গরু আসে। এই বাজার সিলেট বিভাগের মধ্যে পুরাতন বাজার হওয়ায় হবীগঞ্জ জেলা ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন বাজার থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতারা গরুগুলো নিয়ে আসেন। এছাড়া বাজারে প্রচুর পরিমাণ ছাগলও উঠেছে। বেচাকেনাও বেশ জমে উঠেছে।
এই বাজারে আসা সাবেক মেম্বার দিলোয়ার আলী বলেন, হাজীগঞ্জ মেলার বাজার হচ্ছে অত্র পরগনার একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার এই বাজারটি আমাদের মুরুব্বিগন করেছিলেন। আমি এই এলাকায় তিন বারের সাবেক মেম্বার আমাদের মুরুব্বিদের সাথে নিয়ে যুব সমাজ আবার তারা হারিয়ে যাওয়া গরুর বাজারটি পুনরায় চালু করতে পেরেছেন। এই যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
মুক্তিযোদ্ধা আজমান আলী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া পর এই বাজার যাত্রা শুরু করে প্রথম থেকে সিলেট বিভাগের মধ্যে নামকরা বাজারে পরিনত হয়। বিগত কিছু দিন এই বাজারে পশুর হাট ছিল না। পাশে একটি বাজারে পশুর হাট হত এখন আবার পশুর হাট তার পুরাতন জায়গায় ফিরে আসছে।
হাজীগঞ্জ পুরাতন মেলার বাজার সেক্রেটারী আবু তাহের মিলাদ মিয়া বলেন, স্বাধীনতা পর এই পরগনাবাসী এই বাজার প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিছু কুচক্রী মহল এই বাজারের পাশে আরেকটি অবৈধ বাজার দিয়ে আমাদের সুনামকে কাজে লাগিয়ে তারা গরুর বাজার করে আসছিল। এখন আমাদের এলাকাবাসীর চেষ্টা আবার প্রতি শনিবারে এখানে গরুর বাজার বসছে। প্রশাসনের সহযোগিতা এখন আমরা আামাদের নিয়মিত সাপ্তাহিক পশুর হাট বসিয়ে ক্রেতাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
US BANGLA BARTA is proudly powered by WordPress