জগন্নাথপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি দোকান পুড়ে ছাঁই, কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত: ৬:২৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫

জগন্নাথপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি দোকান পুড়ে ছাঁই, কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

হুমায়ূন কবীর ফরীদি##

জগন্নাথপুরে ভোররাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১ টি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে ও জানাযায়, ৫ ই ডিসেম্বর রোজ শুক্রবার ভোররাত প্রায় ৪ ঘটিকার সময় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরের হাসপাতাল পয়েন্টস্থ ছিক্কা মসজিদ মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে ৯০ ভাগ আগুন নির্বাপণ করেন। পরে বিশ্বনাথ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিভানোর কাজ সম্পন্ন করেন। ততক্ষণে এই মার্কেট এর ১১ টি দোকান মালামাল সহ পুড়ে ছাঁই হয়ে গিয়েছে। এতে প্রায় দেড়কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে জগন্নাথপুর টু সিলেট সড়কের নলজুর নদীর উপর ব্রীজের নির্মাণ কাজ চলমান থাকার কারণে ও বিকল্প সেতুটি নড়বড়ে হওয়ার কারণে জগন্নাথপুর ফায়ার সার্ভিসের দল এই আগুন নির্বাপণ কাজে নিয়োজিত হতে পারেননি বলে জগন্নাথপুর ফায়ার সার্ভিস সুত্র জানিয়েছে।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছিক্কা মসজিদ মার্কেট এর ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা একান্ত আলাপকালে দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকাকে বলেন , ‘আগুনে সবকিছু পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। দোকানে প্রায় কো‌টি টাকার মালামাল ছিল সব শেষ। ব্যবসায়ীরা আ‌রো বলেন, ‘আগুন কিভাবে লাগল তা কেউই বলতে পারেনি। হঠাৎ আগুন লাগার খবর পেয়ে এসে দেখি ভয়াবহ পরিস্থিতি।
এ ব্যাপারে হাসপাতাল পয়েন্টস্থ শান্তিনগর বাজার তদারক কমিটির সেক্রেটারি বিলাল আহমদ ক্ষোভ প্রকাশ করে দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকাকে বলেন, ‘হঠাৎ করে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি দোকানের সবকিছু পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সময় মতো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসলে এ ক্ষতি হতো না। কিন্তু জগন্নাথপুরের ফায়ার সার্ভিস সেতুর দোহাই দিয়ে তারা আসেনি আর বিশ্বনাথের ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই সব পুড়ে গেছে।এজন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ফায়ার সার্ভিস অফিস ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
জগন্নাথপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মোহম্মদ মুর্শেদ আলম দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকাকে বলেন, ‘হেলিপ্যাড এলাকার বেইলি সেতুটি ছোট হওয়ায় আমাদের গাড়িটি নিয়ে ওই পাড়ে যাওয়া যায় না। তবে আমরা বিশ্বনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের আসতে বলি এবং তারা আসাতে আমরা আর যাইনি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ