জগন্নাথপুরে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় রোপা-আমন ধান চাষাবাদে ব্যস্ত কৃষক

প্রকাশিত: ৯:২২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০২৫

জগন্নাথপুরে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায়  রোপা-আমন ধান চাষাবাদে ব্যস্ত কৃষক

 

বিশেষ  প্রতিনিধিঃ

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সময়মতো বীজতলা প্রস্তুত ও চারা ধান উৎপাদন করে এবার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় রোপা-আমন ধান চাষাবাদ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে সুনামগঞ্জে এই সময়ে বন্যার পূর্বাভাস থাকে, এবারও বন্যার শঙ্কা কাটিয়ে কৃষকেরা আমন ধান রোপণ করছেন। সনাতন পদ্ধতির পাশাপাশি কৃষি ব্যয় সাশ্রয়ী আধুনিক রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের সাহায্যে ধান রোপণ করতে দেখা গেছে। জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি রোপা-আমন ধান চাষাবাদ এর মৌসুমে ৪৯০ হেক্টর বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে , আবাদের জমির পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার ৬১০ হেক্টর। ইতিমধ্যে ৪ হাজার ৯৯৭ হেক্টর জমিতে চারা ধান রোপণ করা হয়েছে, দুই সপ্তাহের মধ্যেই রোপণ শেষ হবে। এবার আমন ধান লক্ষমাত্রা ৩৮,১৭৬.৫ মেট্রিটন ও চাল উৎপাদন ২৫,৪৫১ মেট্রিটন নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলার ১৯৫০ জন কৃষককে আমন ধান বীজ ও সার সরকারি প্রণোদনা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

মিরপুর ইউনিয়নের নবী নগরের কৃষক মাহমুদ মিয়া বলেন, কৃষি খরচ বেশি হওয়ায় ৫বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করছি, আবহাওয়া ভালো হলে ফলন ভালো হবে। একই ইউনিয়নের আধুয়া গ্রামের আশরাফ মিয়া বলেন, সরকারি প্রনোদণার সার বীজ পেয়েছি, বন্যার শঙ্কা না থাকায় সময়মতো বীজতলা তৈরি করে ১০ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করছি। রানীগঞ্জ ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের কৃষক মুন্না মিয়া বলেন, ১৫ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করবো, এবার প্রথম রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্র দিয়ে রোপণ করছি, দ্রুত সময়ে অল্প খরচে চারা ধান রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। পাইলগাঁও ইউনিয়নের মশাজান গ্রামের টিপু সুলতান বলেন, কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী এলাকায় আমাদের জমি, প্রতি বছর বন্যার আশঙ্কা থাকে, এবারও বন্যার আশঙ্কা ছিল, তবুও ২৫ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ শুরু করেছি, চলতি সপ্তাহে রোপণ শেষ হবে। বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, আগামী সপ্তাহে রোপণ শেষ হবে এবং ভালো ফলন হবে বলে আশাবাদী।

জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কাওসার আহমেদ বলেন, বোরো ফসলের পরেই আমন ধান দ্বিতীয় জনপ্রিয় ফসল, গতবছর ৯ হাজার ৪শত ৬ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করা হয়ে ছিলো এবার ৯ হাজার ৬শত ১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদ হবে, চাষের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, আবহাওয়া ভালো, বৃষ্টি হচ্ছে পানির সরবরাহ হলে কৃষকরা রোপণ করেন। এবার জনপ্রিয় ধান ব্রি-১০৩ ও নতুন জাত ১১০ প্রথম বার চাষাবাদ হচ্ছে, দেখবো মাঠে কেমন ফলন হয়, এছাড়াও ব্রি ৯৩ ও ব্রি ৯৫ জাতের ধান চাষাবাদের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। উপজেলা কৃষি বিভাগ সবসময় কৃষকদের পাশে রয়েছে। ##

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ