সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ আক্তার বলেন, পরীক্ষার্থী সেজে কেন্দ্রে ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করেন চক্রের সদস্যরা। পরীক্ষার হল থেকে ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্ন বাইরে পাঠানো হয়। বাইরে থাকা চক্রের সদস্যরা প্রশ্ন দ্রুত সমাধান করে আবার পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠান। এভাবেই প্রশ্নফাঁস করে এমসিকিউ পরীক্ষায় পাস করানো হয় চাকরি প্রার্থীদের। পরে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৬ লাখ টাকা চুক্তি করা হয়। দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা অগ্রিম হিসেবে দেন চক্রের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি জানায়, ৫৫০ পদে নিয়োগের পরীক্ষা ছিল গতকাল। অসদুপায় অবলম্বন করে কিছু চাকরি প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন, এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ২ পরীক্ষার্থীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, নোমান সিদ্দিকী, মাহমুদুল হাসান, আল আমিন, নাহিদ হাসান, শহীদ উল্লাহ, তানজির আহমেদ, মাহবুবা নাসরিন, রাজু আহমেদ, হাসিবুল হাসান ও রাকিবুল হাসান।
ডিবি জানায়, গ্রেপ্তার মাহমুদুল হাসান, নাহিদ হাসান ও আল আমিন সিদ্দিকী প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৩, ২০১৬ ও ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। জামিনে এসে আবার একই অপরাধে জড়িয়েছেন তাঁরা।
ডিবি সূত্র জানায়, এই চক্রে আরও সদস্য রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।