নিহত যুবক এর ছবি

ডেস্ক নিউজঃ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নে ভোটার লিষ্টের লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে মারামারি ঘটনা আহত হওয়া যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয়রা জানায়, বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুুপুরে পাইলগাঁও ইউনিয়নের পাইলগাঁও গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে মিজান (১৮) পাইলগাঁও বিএন উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটার লিষ্টের নাম লেখানো জন্য লাইনে দাঁড়ানো ছিল। এ সময় পিচনে থাকা কাতিয়া গ্রামের দুদু মিয়া ছেলে লোকমান মিয়া (১৮) ও নয়াকসবা গ্রামের আরব আলীর ছেলে রুম্মান মিয়া (১৯) লাইনে থাকা মিজানকে ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। পরে লোকমান ও রুম্মান মিলে আরো কয়েকজন যুবক সংগ্রহ করে মিজান উপর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চ দিয়ে মাথায় আঘাত করে, সাথে সাথে মিজান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা প্রথমে জগন্নাথপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে অবস্থা খারাপ থাকায় সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে নেওয়ার পর রোগীর অবস্থা দেখে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি না করায় মাউন্ট এডোরা হসপিটাল ভর্তি করে লাইফ সাফোর্টে রাখা হয়। গত তিন দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শনিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধার পর মৃত্যু বরণ করে।

এ বিষয়ে নিহত যুবকের চাচাতো ভাই সুমন মিয়া জানান, লোকমান ও রুম্মান সহ আরো কয়েকজন যুবক মিলে আমার চাচাতো ভাইকে অন্যায় ভাবে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই। আমরা এখন জগন্নাথপুর থানায় আছি মামলা দায়ের করবো।

জগন্নাথপুর থানার এসআই জিয়া উদ্দিন জানান, বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুুপুরে পাইলগাঁও ইউনিয়নের বিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে সমস্যা হয়েছি জেনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। আমি আসার পর এ ঘটনাটি ঘটেছে।

জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানান, পাইলগাঁও ইউনিয়নের বিএন উচ্চ বিদ্যালয়ে আহত হওয়া যুবক হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আমরা শুনেছি এখনো লাশ সিলেট আছে। লাশ নিয়ে আসে নাই। তার পরিবারের লোকজন আমার সাথে যোগাযোগ করেছে। এখনো মামলা হয় নাই।