শহিদ মিনারে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

প্রকাশিত: ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২

শহিদ মিনারে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে হুড়োহুড়ি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার ছাত্রদলের একটি গ্রুপের ওপর ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালায়। একজনকে লাঠিপেটা করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

জানা গেছে, শহিদ মিনারে আগে কারা ফুল দেবে তা নিয়ে এক প্রকার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ধাক্কাধাক্কি করে অনেকেই বেদির দিকে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। ফলে সেখানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এ সময় ছাত্রদলের একটি গ্রুপের ওপর ছাত্রলীগ কর্মীরা চড়াও হয়। ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে একজনকে লাঠিপেটা করার অভিযোগও পাওয়া যায়। এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় ঢাকা মহানগরীর উত্তর বিএনপির অন্তর্ভুক্ত বিমানবন্দর থানার সাংগঠনিক ওয়ার্ড, দক্ষিণখান থানা, ৪৭ ও ৪৯নং ওয়ার্ড, শাহ আলী থানার ৮নং ওয়ার্ড ও ৯৩নং আঞ্চলিক ওয়ার্ড, রূপনগর থানার ৯২নং ওয়ার্ডের প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের ওপর পেছন থেকে আওয়ামী ছাত্রলীগ, যুবলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা আক্রমণ করেছে।

এতে রহিম ও আলাউদ্দিনসহ ২০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদিকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মারামারিতে জড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আগে শ্রদ্ধা জানানোকে কেন্দ্র করে ঢাবির জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের কর্মীরা সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। এতে বিজয় ৭১ হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও যোগ দেন। এ সময় অনেককেই বাঁশ নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে দেখা যায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, বিএনসিসি, স্কাউটের স্বেচ্ছাসেবকদের হিমশিম খেতে হয়। এ ঘটনায় শহিদ মিনার এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সাধারণ মানুষ এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শহিদ মিনারে সলিমুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা এহসানুল হক ইয়াসিরকে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে একই সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজির আহমেদ নিশির বিরুদ্ধে। ইয়াসির জানান, প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। তবে অভিযুক্ত নিশি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সম্পাদক ইয়াসির আরও বলেন, মহানগর নেতাদের সঙ্গে ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা যাই। তখন নিশি আমাদের সামনে ছিলেন। সম্ভবত তাকে কেউ ধাক্কা দিয়ে সামনে চলে যান।

পেছনে ফিরে তিনি আমাকে দেখে মনে করেছেন আমিই তাকে ধাক্কা দিয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মোবাইল ফোন দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করেন। এতে আমার মাথা ফেটে যায় এবং মাথায় তিনটি সেলাই করা হয়েছে। ইয়াসির আরও জানান, এ মুহূর্তে আমি খুবই অসুস্থ এবং ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছি না। অভিযোগ প্রসঙ্গে নিশি বলেন, ‘শ্রদ্ধা জানাতে আমাদের সভাপতি ও সম্পাদকের সঙ্গে যাই। আমার সঙ্গে এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তবে আমি জানি না, উনি (ইয়াসির) কেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার নামে অভিযোগ দিচ্ছেন।’

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ