প্রকাশিত: ৬:২০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
সিলেট থেকে সংবাদদাতাঃ
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অতিরিক্ত মূল্যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) টিকিট বিক্রিকালে দুই যুবক আটক হয়েছেন। আটকদের একজনের গলায় ঝুলছিল বিসিবির সবুজ রঙের ফিতা সম্বলিত পাসকার্ড। তার নাম পারভেজ। এছাড়া বাপ্পী নামে আরেক যুবক অতিরিক্ত দামে টিকিট বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন।
৩০ জানুয়ারী রোজ সোমবার দুপুরে স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকের বুথের সামনে থেকে তাদের আটক করে পুলিশে দেয় জনতা।
বিমানবন্দর থানার এসআই গৌতম চন্দ্র দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক পারভেজের গলায় লিয়াজো কর্মকর্তার কার্ড ঝোলানো ছিল। তাকে বিসিবির লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বাপ্পী নামের আরেক যুবককে ৫টি টিকিট বিক্রিকালে হাতেনাতে ধরে ফেলে জনতা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
সিলেটে বিসিবি’র মিডিয়া উইং কর্মকর্তা ফরহাদ কোরেশী বলেন, টিকিট বিক্রিকালে এক যুবককে আটকের কথা জানতে পেরেছি। তবে তাকে আমি চিনি না।
জানা গেছে, এবার বিপিএলে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বরতদের ৮টি ক্যাটাগরিতে কার্ড দেওয়া হয়েছে। আটক পারভেজ ভলেন্টিয়ারর্স ক্যাটাগরিতে কাজ করতে পারেন! কেননা, এবার ভলান্টিয়ার ক্যাটাগরিতে সেভাবে যাচাই-বাছাই না করে পাসকার্ড দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভলান্টিয়ারদের নির্দিষ্ট কোনো কাজ নেই। তাই সেই সুযোগে এমন কাজ করতে পারেন কেউ।
উল্লেখ, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে সিলেটে বিপিএলের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। ওইদিন মাত্র আধাঘণ্টায় ২০০ ও ৩০০ টাকা দামের টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে যায়। সেদিনই টিকিট বিক্রির অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় টিকিট নির্দিষ্ট কিছু লোকের কাছে বিক্রি করা হয়ে গেছে। এভাবে প্রতিদিন টিকিটের জন্য ক্রীড়ামোদিদের হাহাকার থাকলেও সুরাহা মিলছে না।
পক্ষান্তরে বুথে না মিললেও স্টেডিয়ামে হাতে হাতে চড়া মূল্যে বিপিএলের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন আইডি ব্যবহার করে ঘোষণা দিয়ে টিকিট বিক্রির হিড়িক পড়েছে।
আর প্রতিদিন টিকিট কালোবাজারির দায়ে একাধিক লোকজনকে আটক করা হচ্ছে। কিন্তু এর স্থায়ী কোনো সুরাহা হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে রংপুর রাইডার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যাচ চলাকালে প্রেসবক্সের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিসিবির পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
ওইদিন টিকিট নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি দু’হাত তুলে আত্মসমর্পণ করে বলেন, ‘সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আসন সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার। এরমধ্যে অংশগ্রহণকারী দল বড় অংশের টিকিট কিনে নেয়। আমার জানামতে সিলেট স্ট্রাইকার্সও হাজার পাঁচেক টিকিট কিনে নিয়েছে। এরপরও টিকিট বাড়তি দামে বিক্রির কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ আমাদের লোকরাও নজরদারি করে।’
US BANGLA BARTA is proudly powered by WordPress