যেভাবে মুদি দোকানদার থেকে সিরিয়াল কিলার ছদ্মবেশী বাউল শিল্পী

প্রকাশিত: ১১:০১ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২২

যেভাবে মুদি দোকানদার থেকে সিরিয়াল কিলার ছদ্মবেশী বাউল শিল্পী

দীর্ঘ ২০ বছর নিজেকে আড়াল করে রেখেছিলেন আলোচিত ‘ভাঙা তরি ছেঁড়া পাল’ গানের বাউল মডেল সেলিম ফকির। তার আসল নাম হেলাল হোসেন (৪৫)। বাড়ি  বগুড়ায়। র‌্যাব বলছে, তিনি একজন সিরিয়াল কিলার।

একাধিক হত্যা মামলার আসামি। পরিচয় গোপন করতে বেশভূষা পরিবর্তন করে তিনি বড় চুল ও দাঁড়ি রাখেন। পলাতক থেকে তিনি বাউল গান ও গানের মডেলিং করতেন।

গত কাল রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।২০০১ সালে বগুড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাহমুদুল হাসান বিদ্যুৎকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডে নিহতের পরিবারের একজন সদস্য বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেন।

২০০৬ সালে রবিউল নামে এক ব্যক্তিকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে। সেই মামলায়ও হেলাল চার্জশিটভুক্ত আসামি।এ ছাড়া ১৯৯৭ সালে বগুড়ার বিষ্ণু হত্যা মামলারও এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। এ ছাড়া ২০১০ সালে বগুড়া সদর থানায় একটি চুরির মামলায় ২০১৫ সালে গ্রেফতার হন হেলাল ওরফে বাউল হেলাল।

তাছাড়া নারী নির্যাতন আইনেও তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। খুনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে নিজ এলাকায় ‘দুর্ধর্ষ হেলাল’, ‘খুনি হেলাল’ নামে পরিচিতি পান তিনি।

২০১০ সালে চুরির মামলায় গ্রেফতার হন তিনি। এরপর ২০১৫ সালে জামিন পান। ওইদিনই বিদ্যুৎ হত্যা মামলার রায় হয়। রায়ে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। আদালতে হাজির না হয়ে তিনি সুকৌশলে এলাকা ছাড়েন। এরপর শুরু হেলালের ফেরারি জীবন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ