বিমানের টিকেট নিয়ে কোন সিন্ডিকেটের প্রমাণ দিতে পারলে এর সাথে জড়িতদের তাৎক্ষণিকভাবে চাকুরীচ্যুত করা হবে।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টায় নগরীর আমানউল্লাহ্ কনভেনশন সেন্টারে সিলেট চেম্বার আয়োজিত বিনিয়োগ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম. এ. মোমেন বলেন, বর্তমান সরকারের দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে কোভিড-১৯ মহামারী মধ্যেও কৃষিপণ্যের সাপ্লাই চেইন সচল ছিল। এটি সরকারের একটি বিরাট অর্জন। তিনি প্রবাসীদের নতুন প্রজন্মকে দেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে প্রবীণ ব্যবসায়ীদের আহবান জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার তাদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা তৈরী করে দিচ্ছেন। তিনি সিলেটে ওয়্যার হাউজ ও প্যাকিং হাউজ প্রতিষ্ঠা সিলেটের ব্যবসায়ীদের ন্যায়সঙ্গত দাবী উল্লেখ করে এ ব্যাপারে মন্ত্রীগণের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
স্বাগত বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আজকের এই মতবিনিময় সভা সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্য, রপ্তানি ও বিনিয়োগের জন্য মাইলফলক। তিনি সিলেটের রপ্তানি খাতের উন্নয়নে কৃষিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও বিমান প্রতিমন্ত্রীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, যথাযথ সুযোগ সৃষ্টি করা হলে সিলেট অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা রপ্তানিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। তিনি সিলেট থেকে সরাসরি পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যে প্যাকিং হাউজ, কুলিং সেন্টার, সার্টিফিকেশন ল্যাব স্থাপন, গোয়াইনঘাটে অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্রুত বাস্তবায়ন, সিলেট-লন্ডন ও মধ্যপ্রাচ্যের ফ্লাইটের ভাড়া হ্রাস করার অনুরোধ জানান। তিনি সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় কৃষি উদ্যোক্তা তৈরীর লক্ষ্যে কৃষি বিষয়ক সেমিনার আয়োজনের জন্য সরকারী সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণের জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় সরকারী উদ্যোগে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের আহবান জানান।
সভায় বক্তাগণ সিলেট-চট্টগ্রাম ও সিলেট কক্সবাজার রুটে সপ্তাহে ২টি করে ফ্লাইট চালু, সিলেট থেকে সরাসরি ওমরাহ্র ফ্লাইট চালু, রেমিটেন্স এওয়ার্ড প্রদানের সংখ্যা বৃদ্ধিকরণ, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে পণ্য ডিসপ্লে সেন্টার চালু, বিমানবন্দরের বাইরে যাত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের জন্য ওয়েটিং রুম তৈরী, পর্যটকদের জন্য তথ্য কেন্দ্র খোলা, দেশে ফেরার ফ্লাইটে খাবারের মান উন্নয়ন, সিলেটে কার্গো বিমান অবতরণ সহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার নীরাজ কুমার জেসওয়াল, হাই কমিশনের হেড অব চেন্সরি টি জি রামেশ, সিলেট রেঞ্জ এর ডিআইজি অব পুলিশ মোঃ মফিজ উদ্দিন আহমদ, বিআরআরআই এর মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবির, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ বেনজির আলম, জেলা প্রশাসক মোঃ মুজিবর রহমান, পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, কানাডা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরোয়ার হোসেন, কাস্টম্স এর অতিরিক্ত কমিশনার মুহাম্মদ রাশেদুল আলম, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট চেম্বারের পরিচালক জিয়াউল হক, মোঃ আব্দুর রহমান (জামিল), হুমায়ুন আহমদ, মুজিবুর রহমান মিন্টু, আলীমুল এহছান চৌধুরী, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (রাজিব), ফখর উস সালেহীন নাহিয়ান, আমিনুর রহমান লিপন, মোঃ আব্দুস সামাদ, জহিরুল কবির চৌধুরী শিরু, ফাহিম আহমদ চৌধুরী, কাজী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ সরোয়ার হোসেন ছেদু, সাবেক সভাপতি ফারুক আহমদ মিছবাহ, খন্দকার সিপার আহমদ, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন সাহা, সাবেক সহ সভাপতি মোঃ এমদাদ হোসেন, বিডা সিলেট এর বিভাগীয় পরিচালক জুলিয়া যেসমিন মিলি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের সাবেক সভাপতি হাসিন আহমদ, কোয়ারেন্টাইন বিভাগের উপ পরিচালক সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী প্রমুখ।