সুনামগঞ্জে নির্বাহীকর্মকর্তার অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ২:৪৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২

সুনামগঞ্জে নির্বাহীকর্মকর্তার অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন

সুনামগন্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গিরনগর ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জাহাঙ্গিরনগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মানিক মিয়াকে শারীরিক লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে সদর উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তার অপসারণ তসিলদার কামাল হোসেন ও সার্ভেয়ার আনোয়ার হোসেনের শাস্তি দাবীকরে জাহাঙ্গির নগর ইউনিয়নবাসীর আয়োজনে  মানববন্ধন কর্মসূচী পালন হয়।

শুক্রবার সকালে কাইয়ারগাঁও স্কুলমাঠে এই মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। মানববন্ধন অনুষ্টানে লাঞ্চিত হওয়া প্যানেল চেয়ারম্যান মানিক মিয়া বলেন বিগত ৯/২/২০২২ রোজ বৃঃস্পতিবার বিকালে জাহাঙ্গির নগর ইউনিয়নের  কাইয়ার গাঁও গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের আওয়ামিলিগের সাধারণ সম্পাদক আমার আপন ছোটভাই মখবুল হোসেন কে সদর উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা তসিলদার কামাল হোসেন ও সার্ভেয়ার আনোয়ার ধরেনিয়ে ডলুরাশহীদ মিনার এলাকার দিকে গেছেন বিষয়টি বোঝার জন্য আমিও আমার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যাক্তি সহ শহীদ মিনার এলাকায় গিয়ে আমার পরিচয় দিয়ে উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তার কাছে মখবুল কে ধরে আনছেন কি কারনে জানতে চাইলে সাথে সাথে উনার নির্দেশে তসিলদার কামাল হোসেন সার্ভেয়ার আনোয়ার হোসেন সহ আরো কিছু লোক আমার জামার কলার টেনেধরে আমাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেন, আমি মুক্তিযুদ্ধা পরিবারের সন্তান আমার ভাই ওয়ার্ড আওয়ামীলিগের সাধারণ সম্পাদক কি অপরাধ ছিল আমার ও আমার ভাইয়ের আমার গ্রামের সাধারণ মানুষের বাড়ির ঘাটেরাখা খালি নৌকায় জরিমানা করা ও হামলা মামলার ভয় দেখানো প্রতিবাদ করাই কি দোষ? আমি উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তার অপসারন  তসিলদার কামাল  ও  সার্ভেয়ার আনোয়ারের শাস্তির দাবি জানাই।

জাহাঙ্গিরনগড় ইউনিয়নের ৪নংওয়ার্ড আওয়ামীলিগের সাধারণ সম্পাদক মখবুল হোসেন বলেন উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা তসিলদার ও সার্ভেয়ার আমাকে নির্মম ভাবে মারধর করেন আমি এর বিচার ছেয়ে আওয়ামীলিগের সভাপতি/সম্পাদক মহোদয়দের কাছে নালিশ করেছি।

এডভোকেট শামিম আহমদ উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তার অপসারণ তসিলদার কামাল হোসেনও সার্ভেয়ার আনোয়ারের শাস্তি দাবী করে বলেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে মুক্তিযুদ্ধা পরিবারের সন্তান ৪বারের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়াম্যানের গায়ে হাত দেওয়া কতটুকু অপরাধ হয়েছে তা প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে বিচারের দাবী রইলো।যদি দ্রুত সময়ের ভিতর এই বিচার না পাওয়া যায় তা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবী আদায় করা হবে।এলাকার কৃষক ফারুক মিয়া জানান নদীর ঘাটে গোসল করতে গেলে সেকান থেকে ধরে নিয়ে তার উপর অমানুষিক ভাবে নির্যাতন করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা ইমরান শাহরীয়ার জানান মারধর করার কথা সত্য নয় গত বৃঃস্পতিবার কাইয়াগাঁও এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অপরাধে একজন কে এক লক্ষটাকা জরিমানা করা হয়েছে একটি চক্র প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে নদীথেকে বালু পাথর উত্তোলন করে এদের বিরোদ্ধে লিখিত অভিযোগের তদন্তদিন আছে তাই এসব মিথ্যা অভিযোগ এনে বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে চায়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ