প্রকাশিত: ৯:৫২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২৫
হুমায়ূন কবীর ফরীদি##
জগন্নাথপুরের কেশবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডাস্টার দিয়ে পিটিয়ে এক ছাত্রীকে রক্তাক্ত আহত করার সিসিটিভির ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।এনিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। বিএমবিএফ এর নেতৃবৃন্দ আহত ছাত্রীর খোঁজ খবর নিয়েছেন।
জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলাধীন কেশবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বিগত ৯ই নভেম্বর বিকাল ৩ ঘটিকার সময় এই বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা হাসাহাসি করলে এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরুক আহমেদ উপজেলার নন্দিরয়ারগাঁও (পূর্বপাড়া) গ্রাম নিবাসী মুজিবুর রহমান এর মেয়ে অত্র বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী সাইদা বেগম(১৪)কে ডাস্টার দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করেছেন। পরে এই ছাত্রীকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। শ্রেনী কক্ষে মারপিঠের সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই খবর জানতে পেরে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন (বিএমবিএফ) জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক এখলাছুর রহমান তালুকদার নিক্সন এর নেতৃত্বে অত্র সংগঠন এর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ আহত ছাত্রী সাইদা বেগম (১৪) এর বাড়ীতে গিয়ে তার খোঁজ খবর নিয়েছেন। এই ঘটনায় এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
এ ব্যাপারে আহত ছাত্রী সাইদা বেগম এর পিতা মুজিবুর রহমান বলেন, আমার মেয়েকে অমানবিক ভাবে মারপিট করে রক্তাক্ত আহত করেছেন প্রধান শিক্ষক ফরুক আহমেদ। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাচ্ছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, বিষয়টি আমি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে অবহিত করেছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সচেতন মহল ও অবিভাবক মহল তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, কেশবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক একজন কোমলমতি ছাত্রীকে ডাস্টার দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করায় হতভম্ব হয়ে পড়েছি। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীকে এমনভাবে মারপিঠ করবেন এটা মেনে নেওয়া যায় না। দ্রুত এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্ত শিক্ষক ফরুক আহমেদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
এব্যাপারে বিএমবিএফ জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক এখলাছুর রহমান তালুকদার নিক্সন মুঠোফোনে আলাপকালে বলেন, অমানবিক ঘটনার খবর পেয়ে আমরা আহত ছাত্রীর সাথে দেখা করে শারীরিক খোঁজ খবর নিয়েছি। এবং কেশবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে পাইনি। তবে সহকারী প্রধান শিক্ষক ফয়জুর রহমান জোয়ারদার পলাশ এর সাথে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে অবহিত করেছেন। এবং দুই দিনের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে সময় নিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, দেখি কি হয়। অবস্থা বুঝে আমরা এগোব।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ফরুক আহমেদ এর মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে নেটওয়ার্ক সমস্যার জন্য যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার অরূপ কুমার রায় বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বরকত উল্লাহ মুঠোফোন আলাপকালে বলেন, কেশবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দুর্ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। তবে কোনো অভিযোগ পাইনি।
নির্বাহী সম্পাদক ও প্রকাশক – তৌফিকুল আম্বিয়া টিপু
বার্তা সম্পাদক- হুমায়ূন কবীর ফরীদি
বাংলাদেশ কার্যালয়- কলকলিয়া বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগন্জ।
প্রধান কার্যালয়- ৮২৪ মেইন স্রীট, মেনচেষ্টার, কানেকটিকাট- ০৬০৪০, যুক্তরাষ্ট্র।
ফোনঃ ০১৭১৭৯৩১৬৫৮(বিডি) +১৮৬০৭৯৬৭৮৮৮(ইউএসএ)
ইমেইলঃ usbanglabarta@gmail.com
Design and Developed by Web Nest