প্রকাশিত: ১২:৪১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২
ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ সপ্তম ধাপে গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সব কটিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। ৭টির মধ্যে ৪টিতে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ এবং ৩টিতে স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যে দুজন জামানত হারাচ্ছেন।
নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, তাহিরপুর উপজেলা সদর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৬ জন। এর মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জুনাব আলী। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ১৩৬ ভোট। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও এই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন আখঞ্জি। তিনি ১ হাজার ৯০৩ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছেন।
উপজেলার বাদাঘাট ইউপিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ৬ জন। এর মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও এই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন। তিনি ১১ হাজার ৫০৭ ভোট পান। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সুজাত মিয়া ৪৫৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছেন। প্রাপ্ত ভোটের হিসাবে সুজাত মিয়া জামানত হারাচ্ছেন।
উপজেলার বড়দল উত্তর ইউপিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ৯ জন। নির্বাচিত হয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মাসুক মিয়া। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৬৬ ভোট। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৯২৪ ভোট।
বড়দল দক্ষিণ ইউপিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ৬ জন। এখানে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক মো. ইউনুছ আলী। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ২৪৯ ভোট। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি ৭৬৯ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছেন। প্রাপ্ত ভোটের হিসাবে তিনি জামানত হারাচ্ছেন।
বালিজুরী ইউপিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন দুজন। এখানে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বাংলাদেশ স্থলবন্দর শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আজাদ হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ১৬২ ভোট। এখানে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ছিলেন আতাউর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ৪০১ ভোট।
শ্রীপুর উত্তর ইউপিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ৫ জন। এখানে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আলী হায়দার। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৯৭ ভোট। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মো. আবুল খায়ের। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ২০৭ ভোট।
শ্রীপুর দক্ষিণ ইউপিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ৯ জন। এখানে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আলী আহমদ মুরাদ। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৬ ভোট। এই ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান বিশ্বজিত সরকার। তিনি ১ হাজার ৮৩৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছেন।
দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলীয় প্রার্থী নিয়ে বিভিন্ন ইউপিতে ক্ষোভ থাকায় নেতা-কর্মীদের অনেকেই মাঠে সক্রিয় ছিলেন না। আবার কোনো কোনো ইউপিতে নেতা-কর্মীরা ছিলেন বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে।
বাদাঘাট ইউপিতে পরাজিত দলীয় প্রার্থী মো. সুজাত মিয়া বলেন, ‘আমি দলের নেতা-কর্মীদের পাশে পাইনি। আমার এখানে দলের দুজন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। নৌকা রেখে দলীয় নেতা-কর্মীরা ব্যস্ত ছিলেন বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে। আবার বিদ্রোহীদের ব্যাপারে দলও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
উপজেলার সব ইউপিতে নৌকার ভরাডুবি প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খান বলেন, ‘মূলত প্রার্থী মনোনয়নে ভুলের কারণেই এখানে নৌকার এমন পরাজয় হয়েছে। তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী দেওয়া হয়নি। দলের যাঁরা বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন, তাঁদের নাম আমরা তৃণমূল থেকে প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু তাঁরা মনোনয়ন পাননি। আমি আমার ইউপিতে চারবারের সাবেক চেয়ারম্যান। আমি এবারও মনোনয়ন চেয়েছিলাম। কিন্তু পাইনি। প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও দলের নেতা-কর্মীরা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের জয়ী করতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সফল হননি।
সুত্রঃ প্রথম আলো
নির্বাহী সম্পাদক ও প্রকাশক – তৌফিকুল আম্বিয়া টিপু
বার্তা সম্পাদক- হুমায়ূন কবীর ফরীদি
বাংলাদেশ কার্যালয়- কলকলিয়া বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগন্জ।
প্রধান কার্যালয়- ৮২৪ মেইন স্রীট, মেনচেষ্টার, কানেকটিকাট- ০৬০৪০, যুক্তরাষ্ট্র।
ফোনঃ ০১৭১৭৯৩১৬৫৮(বিডি) +১৮৬০৭৯৬৭৮৮৮(ইউএসএ)
ইমেইলঃ usbanglabarta@gmail.com
Design and Developed by Web Nest