সিলেটে বিয়ে পাগল লন্ডনী নেহার মিয়া যৌতুকের মামলায় আটক

প্রকাশিত: ১:৩৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২

সিলেটে বিয়ে পাগল লন্ডনী নেহার মিয়া যৌতুকের মামলায় আটক

ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ বিয়েই যার নেশা,নামে বে-নামে প্রায় ডজন খানেক বিয়ে করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তিনি।

সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানাধীন পিরপুর গ্রামের মৃত আনছার মিয়ার ছেলে নেহার মিয়া মিলন (৪১)।

জানা যায়, নেহার মিয়া মিলন লন্ডন প্রবাসী। প্রতি বছর দেশে ফিরে বিয়ে করাই তার নেশা। বিয়ের ১-২ মাস পর লন্ডনে ফিরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। কখনো ফোনে যৌতুক চান,কখনো নতুন বিয়ের শর্ত দিয়ে সংসারের প্রস্তাব দেন।কখনো আবার লুকিয়ে দেশে ফিরে আবারো নতুন বিয়ের আসর জমান। এই পথকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের কিছুদিন পর ফিরে যান লন্ডনে। ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে তার শ্বশুড়বাড়ির লোকজনেরা জানতে পারেন এর আগেহ তিনি আরো চারটি বিয়ে করেছেন। অথচ তিনি বিয়ের সময় জানিয়েছিলেন তার এর আগেহ মাত্র একটি বিয়ে হয়েছিল এবং সেই স্ত্রী লন্ডনে ছিলেন। তার সাথে ডিভোর্স হয়ে গেছে।

এদিকে গত বছরের নভেম্বর মাসে তিনি দেশে আসার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি। এরই কিছুদিন পর তিনি আসবেন না বলে জানিয়ে দেন তার পঞ্চম স্ত্রী সাবিনাকে (ছদ্মনাম)। এরপর দিয়ে গোপনেই দেশে আসেন। গত ১ ফেব্রুয়ারী সিলেটের বিশ্বনাথ থানাধীন রহিমপুর গ্রামে গোপনে আরেকটি বিয়ের আয়োজন করেন। ঐদিন বরযাত্রা নিয়ে কনের বাড়িতে উপস্থিত হওয়া মাত্র তার পূর্ব পরিচিত এক লোক তাকে দেখে ফেললে তার আগের বিয়ের ঘটনাগুলি জানাজানি হয়ে যায়। এই সময় বিয়ে বাড়িতেই তাকে আটকে রাখা হয়। এরপর তার নিকট আত্মীয়রা গিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি শেষ করে সেইখান থেকে ফিরে আসেন।

এদিকে তার ৫ম স্ত্রী গত ৩০/০১/২০২২ইং বাদী হয়ে সিলেট জালালাবাদ থানায় যৌতুকের অভিযোগে একটি মামলা করেন। এরই প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ০৩/০২/২০২২ইং তারিখে তাকে নগরীর পাঠানটুলাস্থ তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাজমুল হুদা খান আটকের ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন এবং আদালতের মাধ্যমে আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

নেহার মিয়ার বর্তমানে সিলেট নগরীর পাঠানটুলা পার্কভিউ এলাকায় ১২৪ নং বাসায় বসবাস করেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ