জগন্নাথপুরে থানা থেকে আ,লীগের ৩ নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদলের

প্রকাশিত: ২:১৩ পূর্বাহ্ণ, জুন ৪, ২০২৫

জগন্নাথপুরে থানা থেকে আ,লীগের ৩ নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদলের

হুমায়ূন কবীর ফরীদি ##

নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে আটকের পর থানা হাজত থেকে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। বিষয়টি অস্বীকার করেছে থানা পুলিশ।


৩রা জুন বিকাল প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘটিকার সময় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপজেলা সদরস্থ দলীয় কার্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ২রা জুন রোজ সোমবার দিবাগত রাতে জগন্নাথপুর উপজেলার দাওরাই গ্রামের আওলাদ খানের ছেলে আশারকান্দী ইউনিয়ন এর ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ খান (৪৪), মৃত ছুরত মিয়ার ছেলে একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রাসেল মিয়া (৩২) ও মৃত মাসুক মিয়ার ছেলে একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সুহেল মিয়া (৪২) গোয়ালাবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে জগন্নাথপুর থানার এসআই শাহ আলম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ। এবং ৩রা জুন বেলা আড়াইটার দিকে তাদেরকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। এঘটনায় ছাত্রদল নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এবং এই ব্যাপারে তৎক্ষনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে থানা ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল ইসলাম জাবির, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল ও যুগ্ম আহবায়ক মারজান আহমদসহ কয়েকজন নেতাকর্মী লাইভে কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামছুল ইসলাম জাবির বলেন, পুলিশ ‘ডেবিল’দের গ্রেপ্তারের পর থানার কাষ্টরি থেকে ছেড়ে দিয়েছেন। এঘটনায় জগন্নাথপুরের ছাত্র-জনতার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করছি।
জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্ববায়ক মামুনুর রশীদ সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন, থানা পুলিশ নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ নেতা প্রতাপ খান, রাসেল মিয়া ও সুহেল মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দিয়েছে। পুলিশ কার ইন্দনে এই আসামিদের ছেড়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা জানতে চায়। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে কঠোর আন্দোলনে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ওসি তদন্ত জয়নাল হোসেন একান্ত আলাপকালে সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। কেননা এই তিন ব্যক্তি একটি মামলায় আদালতের জামিনের রিকল জমা দিতে থানায় এসেছিলেন। তাঁরা রিকল জমা দিয়ে চলে গেছেন। আমরা কাউকে আটক করেনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ওদের বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই। ওদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো থানায় মামলা আছে কিনা আমার জানা নেই।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ