চলতি বছরেই কাজ শুরু : সুনামগঞ্জে হাওর এলাকায় উড়ালসড়ক

প্রকাশিত: ১:২০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২

চলতি বছরেই কাজ শুরু : সুনামগঞ্জে হাওর এলাকায় উড়ালসড়ক

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় উড়ালসড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। সুনামগঞ্জের উন্নয়নে নেওয়া এযাবৎকালের সর্ববৃহৎ প্রকল্প এটি। প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি বাস্তবায়িত হলে হাওর এলাকার ‘রূপ’ বদলে যাবে, ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এ জনপদের মানুষের জীবনমানে। এ উড়ালসড়ক আলো ছড়াবে দেশের উত্তর-পূর্ব কোণে।

এই প্রকল্পে হাওর অধ্যুষিত এলাকা সুনামগন্জের সংগে নেত্রকোনা জেলার আধুনিক যোগাযোগ স্হাপন, দুই জেলার পাঁচটি উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগের উন্নয়ন, হাওর এলাকার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষিপণ্য ও মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দ্রততম সময় ও সহজে পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত, হাওরকেন্দ্রিক পর্যটনের প্রসার থাকবে।

গত বছরের ২৪ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) ‘হাওর এলাকায় উড়ালসড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’ অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এবং সেতু বিভাগকে সমন্বয় করতে একনেক সভায় নির্দেশনা দিয়েছেন। ২০২৫ সালের জুনে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা। চলতি বছরে প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু হবে।

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা এবং নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলাজুড়ে এ প্রকল্পের কাজ হবে। উড়ালসড়ক শুরু হবে জামালগঞ্জের সাচনা এলাকা থেকে। এরপর উপজেলার কাজীরগাঁও হয়ে ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী, ধর্মপাশা বাজার, ধর্মপাশার আলোকদিয়া হয়ে বারহাট্টা উপজেলার গোপালপুরে সড়কে গিয়ে যুক্ত হবে। এটিই প্রকল্পের মূল সড়ক, যার দৈর্ঘ্য হবে ২৮ কিলোমিটার। এ ২৮ কিলোমিটারের মধ্যে উড়ালসড়ক হবে ১০ দশমিক ৮১ কিলোমিটার। এ সড়কের বাকিটুকু হবে সব মৌসুমে যাতায়াতের সড়ক। উড়ালসড়ক যাবে গ্রামের পাশ দিয়ে। সড়কের প্রস্থ হবে ৩০ মিটার, তবে এটা আরও বাড়তে পারে।

দৃষ্টিনন্দন সড়কের বিভিন্ন স্থানে পর্যটকদের জন্য সাতটি দোতলা টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। একই সঙ্গে এক কিলোমিটার পরপর সড়কের পাশেই পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানো এবং যানবাহন রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা (বাস-বে) থাকবে। যেখানে সম্ভব সড়কের দুই পাশে হিজল ও করচগাছ লাগানো হবে। হাওরে প্রাণ-প্রকৃতির বিষয়টি মাথায় রেখে উন্নত বিশ্বের আদলে থাকবে শব্দ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ