যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শহীদ বেদিতে প্রবাসীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রকাশিত: ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শহীদ বেদিতে প্রবাসীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

তৌফিকুল আম্বিয়া টিপুঃ 

বাংলাদেশ সময়ে একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরা। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সামনের পার্কে ‘মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালির চেতনা মঞ্চ’ নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে রবিবার স্থানীয় সময় বেলা ১টা ১মিনিটে অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ০১ মিনিটে ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস- এর এ কর্মসূচির শুভ সূচনা হয়।

জাতিসংঘের সামনে অস্থায়ী শহীদ মিনারে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের শ্রদ্ধাঞ্জলি। গত ৩১ বছর ধরেই এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে প্রবাসীদের সর্বজনীন উদ্যোগ হিসেবে।

জাতিসংঘের সামনে অস্থায়ী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার আগে স্লোগান দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় একুশ ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য এবং দিবসটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পরিণত হওয়ার প্রেক্ষাপট সংক্ষেপে উপস্থাপন করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) নূর এলাহি মিনা এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশের ডেপুটি কন্সাল জেনারেল এস এম নাজমুল হাসান।

কর্মসূচির পরিচালনায় ছিলেন শহীদ সন্তান ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নিউ ইয়র্ক চ্যাপ্টারের সভাপতি ফাহিম রেজা নূর এবং ‘বাঙালির চেতনা মঞ্চে’র সংগঠক আব্দুর রহিম বাদশা।

জাতিসংঘের সামনে অস্থায়ী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন চট্টগ্রাম সমিতি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারি সংগঠনের নেতাদের মধ্যে ছিলেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের যুক্তরাষ্ট্র শাখার প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার চুন্নু, মহিলা সম্পাদক সবিতা দাস, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক রুবাইয়া শবনম প্রিয়া, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি ও নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল কাদের মিয়া, ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাফরউল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার ভুইয়া, যুগ্ম সম্পাদক আশরাব আলী খান লিটন, চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি আহসান হাবিব, বোর্ড অব ট্রাস্টির কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট সাহাবউদ্দিন চৌধুরী লিটন, মানবাধিকার সংগঠক এ টি এম রানা, আরশাদ ওয়ারিশ, মো. আলাউদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ, নাজিমউদ্দিন, জেবিবিএ’র প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুন নূর ভূঁইয়া, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সাবেক সভাপতি মিসবাহ আহমেদ, সাবেক সেক্রেটারি ফরিদ আলম, যুবলীগ নেতা ইফজাল চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গমাতা পরিষদের সভাপতি এনামুল হক এবং সেক্রেটারি সিরাজউদ্দিন সোহাগ, উপদেষ্টা অধ্যাপিকা হোসনে আরা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি মোর্শেদা জামান, নিউ ইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা মতুজির রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিকুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি শাহীন আজমল, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট দরুদ মিয়া রনেল, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মইনুল হক চৌধুরী হেলাল, বিয়ানিবাজার সমিতির উপদেষ্টা বোরহানউদ্দিন কফিল, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদ আহমেদ, সেক্রেটারি আবুল কাশেম, নির্বাহী সদস্য কানু দত্ত, এমসি কলেজ অ্যালামনাইয়ের নেতা শফিক চৌধুরী, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সুশীল সাহা এবং কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান।

জাতিসংঘের সামনে অস্থায়ী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার আগে হোস্ট সংগঠনের পক্ষে কথা বলেন আব্দুর রহিম বাদশা।নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার, ব্রুকলিনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড এলাকাতে নিউইয়র্ক সময় রাত ১২টা এক মিনিটে আরও কয়েকটি অস্থায়ী শহীদ মিনারে প্রবাসীরা শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন।

উল্লেখ্য নিউইয়র্ক সিটিতে তিন লাখেরও বেশি বাংলাদেশি বাস করলেও এখন পর্যন্ত স্থায়ী একটি শহীদ মিনার স্থাপনের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এ নিয়ে অনেকেই বক্তৃতা বিবৃতিতে অঙ্গীকারের ফুলঝুরি ঝাড়লেও এখনো কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ