সংস্কৃতিসচিব আবুল মনসুর বলেন, মেলায় স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। একাডেমির কর্মকর্তা–কর্মচারী, প্রকাশক এবং স্টল–সংশ্লিষ্টদের টিকার সনদ থাকতে হবে। যাঁরা খাবারের দোকানে যাবেন, তাঁদেরও টিকার সনদ থাকতে হবে। মেলায় সার্বক্ষণিক একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা করা হবে।
মেলা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ জানান, এবার মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ২০২১ সালের বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রদান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা ও একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান।
মেলায় প্রবেশপথ থাকবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি এবং বাংলা একাডেমির সামনের অংশে। গাড়ি রাখার জায়গা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে।
প্রতিদিন বেলা দুইটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত মেলা চলবে, তবে প্রবেশ করা যাবে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত। ছুটির দিনে মেলার দরজা খুলবে বেলা ১১টায় এবং একুশে ফেব্রুয়ারিতে সকাল আটটায়।
মেলায় এবার স্টল ৭৭৬
এবার মেলায় মোট ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭৬ ইউনিট স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানের জন্য রয়েছে ১৪২টি স্টল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে ৬৩৪টি স্টল। প্যাভিলিয়ন রয়েছে ৩৫টি। উদ্যান অংশে পুরো মেলায় প্যাভিলিয়নগুলো ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গত বছর প্যাভিলিয়ন শুধু স্বাধীনতাস্তম্ভের সামনে রাখায় সমালোচনা হয়েছিল।
এ ছাড়া এবার উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের পূর্ব পাশে মেলার মূল প্রাঙ্গণে লিটল ম্যাগাজিনের জন্য জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে। তাদের ১২৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতবার লিটল ম্যাগাজিনের স্টলের স্থান নিয়েও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল।
শিশু চত্বর থাকবে মেলার উদ্যান অংশে, তবে কোভিড পরিস্থিতির কারণে আলাদা করে এবার ‘শিশু প্রহর’ থাকবে না। প্রতিদিন বিকেল চারটায় মূল মঞ্চে থাকবে বিষয়ভিত্তিক সেমিনার। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মেলায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদারকির পাশাপাশি পুরো মেলা চত্বর এবং সংলগ্ন পথগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।