জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন সময়মত না হওয়ার সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ২:৪১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২

জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন সময়মত না হওয়ার সম্ভাবনা

যুক্তরাষ্ট্র ডেস্কঃ বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রনের প্রভাবে থমকে গেছে প্রবাসের অন্যতম বড় আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের নির্বাচন। চলতি মাসের ৩১ মার্চের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা আর সম্ভব হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত প্রস্তুত হয়নি ভোটার তালিকা। এ কারণে তফসিল ঘোষণা করতে পারছে না নির্বাচন কমিশন।
ভোটার তালিকা হাতে পাবার পর তফসিল ঘোষণর প্রস্তুতি নিতে নিতেই ১ বা ২ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রোজা। এরপর আসবে ঈদ। সব মিলিয়ে আগামী মে মাসের শেষের দিকে সম্ভাব্য নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে এবং সে লক্ষ্যেই অনানুষ্ঠানিকভাবে এগোচ্ছে নিবার্চন কমিশন, এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে নির্বাচন মার্চ থেকে মে মাসে নিতে হলে প্রয়োজন সাধারণ সভার অনুমোদন। এই অনুমোদনের জন্য খুব শিগগির ডাকা হতে পারে সাধারণ সভা।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি রোববার নির্বাচন কমিশনের কাছে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ভোটার তালিকা হস্তান্তরের দিন ধার্য ছিল। এজন্য এস্টোরিয়ার অস্থায়ী কার্যালয়ে কার্যকরী কমিটি, উপদেষ্টা ও নির্বাচন কমিশনের যৌথসভা আহ্বান করা হয়েছিল। এদিন সভা হয়েছে। কিন্তু কার্যকরী কমিটি ভোটার তালিকা হস্তান্তর করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আতাউর রহমান সেলিম জানান, সভায় নির্বাচন কমিশনের চারজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কার্যকরী কমিটি এদিন ভোটার তালিকা হস্তান্তরে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় চেয়েছে। এজন্য ২০ ফেব্রুয়ারি পুনরায় যৌথসভা আহ্বান করা হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী সভায় ভোটার তালিকা হাতে পেলে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নেবে নির্বাচন কমিশন। তবে মার্চে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা পরিবর্তনের আশঙ্কা রয়েছে। কারণ তফসিলের প্রস্তুতি নিতে নিতেই রোজা চলে আসবে। এরপর ঈদ। তাই এপ্রিলে কোনোভাবেই নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে না। সেই হিসাবে মে মাসের শেষে নির্বাচন হলে ভালো হয়।
আতাউর রহমান সেলিম জানান, নির্বাচন কমিশন এক মাস সময় বাড়াতে পারে। তবে মে মাসে নির্বাচন হলে সাধারণ সভা ডাকার প্রয়োজন হতে পারে।
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির সহ-সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকন জানান, প্রায় ১১ হাজার সদস্যের তালিকা করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। তালিকা করা শেষ পর্যায়ে। কিন্তু ভুলত্রুটি সংশোধন করা হচ্ছে। আশা করছি- ২০ ফেব্রুয়ারির সভায় ভোটার তালিকা নির্বাচন কমিশনের কাছে সরবরাহ করতে পারবো। তিনি বলেন, যেহেতু মার্চে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা কম। তাই খুব শিগগির আমরা সাধারণ সভা ডাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ মে মাসের শেষের দিকে নির্বাচন করতে হলে সাধারণ সভার অনুমোদন লাগবেই। ৬ ফেব্রুয়ারি রোববার অনুষ্ঠিত যৌথসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন আহমেদ, সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল, সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, জগলু চৌধুরী ও আহ্বাব চৌধুরী খোকন, কোষাধ্যক্ষ ময়নুল ইসলাম, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আতাউর রহমান সেলিম, নির্বাচন কমিশনার মিনহাজ সাম্মু, সাব্বির হোসেন ও মোশারফ হোসেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ