প্রকাশিত: ১১:৫৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০২৫
বর্তমানের ঢাকার গেইট
ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ
ঢাকা নামের উৎপত্তি সম্পর্কে স্পষ্টভাবে তেমন কিছু জানা যায়নি। এ শহরের নামকরণের সঠিক ইতিহাস নিয়ে নানা মতভেদ রয়েছে।
কথিত আছে যে, সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমণকালে সন্নিহিত জঙ্গলে হিন্দু দেবী দুর্গার একটি বিগ্রহ খুঁজে পান। দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ রাজা বল্লাল সেন ঐ এলাকায় একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। যেহেতু দেবীর বিগ্রহ ঢাকা বা গুপ্ত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল, তাই রাজা, মন্দিরের নাম রাখেন ঢাকেশ্বরী মন্দির। মন্দিরের নাম থেকেই কালক্রমে স্থানটির নাম ঢাকা হিসেবে গড়ে ওঠে।

১৮৬১ সালে ফ্রেডেরিক উইলিয়াম আলেকজান্ডার ডি ফেবেক অঙ্কিত ‘বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে ঢাকা’
অন্য একটি তথ্যমতে, মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর যখন ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন; তখন সুবাদার ইসলাম খান আনন্দের বহিঃপ্রকাশস্বরূপ শহরে ‘ঢাক’ বাজানোর নির্দেশ দেন। এই ঢাক বাজানোর কাহিনি লোকমুখে কিংবদন্তির রূপ নেয় এবং তা থেকেই শহরের নাম ঢাকা হয়ে যায়।

ব্রিটিশ আমলের ঢাকা গেট
উল্লেখ্য, মোগল সাম্রাজ্যের বেশকিছু সময় ঢাকার সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রতি সম্মান জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর নামে পরিচিত ছিল।
রাজা বল্লাল সেন নির্মিত ঢাকেশ্বরী মন্দির নামের ঢাকা+ঈশ্বরী থেকে ‘ঢাকা’ শব্দের উৎপত্তি।
ঢাকা (ইংরেজি: Dhaka; ১৯৮২ সালের পূর্বে Dacca নামে লেখা হতো) ১৬১০ সালে সুবেদার ইসলাম খান চিশতি ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থানান্তর করেন। প্রথমবারের মতো ঢাকা রাজধানী হওয়ার মর্যাদা লাভ করে। তিনি মোগ ল সম্রাট জাহাঙ্গীরের নামানুসারে ঢাকার নামকরণ করেন জাহাঙ্গীর নগর।

শাপলা চত্বর
১৬১৩ সালে মৃত্যুর আগে সুবেদার দলুয়া বা ধোলাই নদীর (বর্তমান বুড়িগঙ্গা) তীরে একটি দুর্গ প্রতিষ্ঠা করেন যার নাম ছিল ‘কেল্লা-ই-জাহাঙ্গীর।’ এই কেল্লাতেই পরবর্তীকালে ইংরেজরা নবাব সিরাজদৌলার স্ত্রী-সন্তানদের বন্দি করে রেখেছিলেন।
US BANGLA BARTA is proudly powered by WordPress