প্রকাশিত: ১১:১৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২২
ইউএস বাংলা বার্তা ডেস্কঃ বিদেশি এক নারীর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের প্রথম সচিবের নগ্নভিডিও চ্যাটিংয়ের ভিডিও ফাঁস হয়েছে।এতে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন কলকাতার প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মুহাম্মদ সানিউল কাদেরের বিরুদ্ধে বিদেশে দায়িত্বরত অবস্থায় অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মাকান্ডের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।

জানা গেছে, সানিউল কাদেরের অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপ সম্পর্কিত দুটি ভিডিও সম্প্রতি ভারতীয় নাগরিক আনিশা মাহমুদ নামের একজন নারী বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন কলকাতার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্টদেন। এতে সানিউল কাদেরকে ওই নারীর সঙ্গে নগ্ন অবস্থায় উদ্যম নৃত্য ও অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হতে দেখাগেছে।
হোয়াটস অ্যাপে অশ্লীল চ্যাটিং ও তাদের ভিডিও রেকর্ড সামাজিক মাধ্যমে ফাঁস হওয়ায় বাংলাদেশও বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সম্পর্কে ভারতীয় জনগণ এবং অন্যান্য দেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ব্যাপক ভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
এ নিয়ে যোগাযোগ করাহ লে সরাসরি আলিশা মাহমুদ নামে ওই ভারতীয় নারীকে চেনেন না বলে দাবি করেন সানিউল কাদের।আর ভিডিও প্রসঙ্গে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি খানিকটা অপ্রস্তুত হন। তবে ভিডিওটি ‘সুপার এডিটেড’ বলে দাবি করেন।
হাইকমিশনের হেড অফ চ্যান্সেলর (এইচওসি) শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর, এখনই এই নিয়ে মন্তব্য করা যাবে না। তবে যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে আমরা অফিসিয়ালি ব্যবস্থা নেব।
কলকাতায় বাংলাদেশের উপরাষ্ট্র দূত তৌফিক হাসান জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে একটি ফেসবুকসআইডি থেকে আমাদের অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে একটি ভিডিও পাঠানো হয়। ওই ভিডিওটি দেখেই আমরা জানতে পারি যে ডেপুটি হাইকমিশনে নিযুক্ত একজন কূটনীতিক এক নারীর সঙ্গে অশ্লীল চ্যাট করেছেন।
তিনি বলেন, বিষয়টা খুবই স্পর্শকাতর এবং একটি পত্রিকায় ঘটনাটা আসার ২৪ ঘণ্টারম ধ্যেই ওই অফিসারকে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।
কূটনীতিককে প্রত্যাহারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলির নির্দেশে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। বলা হয়েছে, ওই কূটনীতিককে কলকাতার দায়িত্বভার ত্যাগ করে অবিলম্বে ঢাকায় সদর দফতরে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবর বলছে, ভিডিও ফাঁসের পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ২৬ জানুয়ারি পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে দেশে ফিরে আসেন সানিউল।
আর হাই কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, ওই কূটনীতিক বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পরে তদন্তের সম্মুখীন হয়েছেন। এটাও জানা যাচ্ছে যে বিষয়টির ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায় থেকেও কলকাতা উপ-দূতাবাসের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ওই নারীর পরিচয় কিংবা তিনি আসলে কে, তা নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। তিনি সত্যিকার অর্থে ভারতীয় কিনা, তাও যাচাই করে দেখা সম্ভব হয়নি।
এর আগেও নব্বইয়ের দশকেমধ্য কলকাতার হোটেলে এক যৌন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে পড়েছিল কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। সেইঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের প্রত্যাহার করে নেয় তৎকালীন সরকার।
US BANGLA BARTA is proudly powered by WordPress