প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০২৫
হুমায়ূন কবীর ফরীদি##
গ্রীষ্মের রুক্ষতাকে ছাপিয়ে গাছে গাছে ফুটেছে রক্তিম লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল। সবুজের ঝুঁপে নিজের সৌন্দর্য বিলিয়ে দিচ্ছে বসুন্ধরায়। এই সৌন্দর্য উপভোগ করছেন ফুলপ্রেমী সববয়সী মানুষেরা। এই ফুলের অপরুপ দৃশ্য যে কারো চোখ ও হৃদয়ে এনে দিতে পারে দ্যোৎনা।
গেল বসন্ত কালের প্রায় শেষ মুহুর্ত থেকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের বিভিন্ন বাসা বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে শুরু করে জনপথের আশপাশে ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বসত বাড়ী এমনকি হাট-বাজার নদীর পাড়ে বেড়ে ওঠা কৃষ্ণচূড়া গাছ গুলো ডালপালার সুবুজ পাতার ঝুঁপে থোকায় থোকায় রক্তিম লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল ফটিয়ে প্রকৃতিকে অপররূপ সাঁজে সাজিয়েছে।
চলন্ত বৈশাখ মাসে কৃষ্ণচূড়ার গাছে গাছে সবুজের সমারোহে অগ্নিপূলক রক্তিম লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল যে কারো চোখ ও মন হরণ করছে। ফুটন্ত ফুলের ভাড়ে মগডাল গুলো নূয়ে পড়েছে। প্রকৃতিতে সৃষ্টি হয়েছে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ আর ফুলের জৌলুস। ময়ূর যেন তার রাঙা পেখম মেলেছে সর্বত্র।
পথচলা অনেক ফুল প্রেমী পথিক গাছের অদূরে দাড়িয়ে থেকে ফুলের সুবাস নিচ্ছেন আর আকুল নয়নে দেখছেন। আবার অনেকে সহপাঠীদের নিয়ে এই গাছের ছায়ায় বসে ফুলের সৌন্দর্য অনুভব করার পাশাপাশি সুবাস নিচ্ছেন আর ফটোপ্রেমে বন্ধী হচ্ছেন।
বনবিভাগ কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন এর ভাষ্য মতে কৃষ্ণচূড়া ফুলের জাত মুলত ৩ প্রকারের। বেশীর ভাগ মানুষ এর নাম কৃষ্ণচূড়া জানলেও এই ফুলের আরেক নাম গুলমোহন। এই নামটি সচারাচর শোনা যায়না। জাত অনুসারে ফুলের রংয়ের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। কোনো কোনো ফুলের রং গারলাল, হালকা লাল ও হলদে রংয়ের হয়ে থাকে। তবে ফুল প্রেমী সিলেট বিভাগে গারলাল রংয়ের কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছ ৯৮ ভাগ। তাইতো কবির ভাষায় বলতে হয় “সবুজ বনায়নে ফুলে- ফলে ভরা ছয় ঋতুর দেশ, সবুজ শ্যামলী রূপের রানী আমার বাংলাদেশ “।
নির্বাহী সম্পাদক ও প্রকাশক – তৌফিকুল আম্বিয়া টিপু
বার্তা সম্পাদক- হুমায়ূন কবীর ফরীদি
উপদেষ্টা: তারিকুল আম্বিয়া অপু
বাংলাদেশ কার্যালয়- কলকলিয়া বাজার, জগন্নাথপুর, সুনামগন্জ।
প্রধান কার্যালয়- ৮২৪ মেইন স্রীট, মেনচেষ্টার, কানেকটিকাট- ০৬০৪০, যুক্তরাষ্ট্র।
ফোনঃ ০১৭১৭৯৩১৬৫৮(বিডি) +১৮৬০৭৯৬৭৮৮৮(ইউএসএ)
ইমেইলঃ usbanglabarta@gmail.com
Design and developed by Web Nest