জগন্নাথপুরে অবৈধভাবে ডাউকা নদীর পাড়ের মাটি কাটছেন প্রভাবশালী ফজল মিয়া

প্রকাশিত: ১১:৪৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২৫

জগন্নাথপুরে অবৈধভাবে ডাউকা নদীর পাড়ের মাটি কাটছেন প্রভাবশালী ফজল মিয়া

জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ

জগন্নাথপুরের সাদিপুর গ্রামের ফজল মিয়া ডাউকা নদীর তীর এর মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। যার ফলশ্রুতিতে নদীর তীর অরক্ষিত হয়ে পড়ার পাশা-পাশি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
স্থানীয় একাধিক সুত্র জানিয়েছে, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত সাদিপুর গ্রাম এর ঈদগাহ মাঠের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাউকা নদী পলি মাটিতে ভরাট হয়ে নদীর পাড় গড়ে উঠেছে। এই ঈদগাহ এলাকা থেকে সরকারি কোনো অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে এক্সোভেটর মেশিন দিয়ে নদীর পাড় কেটে মাটি নিয়ে যাচ্ছেন সাদিপুর গ্রাম নিবাসী মৃত দরছ মিয়ার ছেলে প্রভাবশালী ফজল মিয়া। বিগত ২০শে মার্চ দিবাগত রাত থেকে ঐখান থেকে মাটি কেটে নিয়ে সে তার বোন সাবিনা বেগম এর বাড়ীর ভিটা বরাট করছেন বলে স্থানীয় একাধিক সুত্র জানিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে নদীর তীর অরক্ষিত হওয়ার পাশা-পাশি সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয় তহশিল অফিসে কর্তব্যরত তহশীলদার শিব্বির আহমদকে এই বিষয়টি অবহিত করা হলেও এখনো এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি তিনি। বিধায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।


এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় জনৈক ব্যক্তি বলেন, ২০ শে মার্চ দিবাগত রাত থেকে ডাউকা নদীর ভরাট অংশ নদীর পাড় এর মাটি নির্দ্বিধায় কেটে নিচ্ছেন সাদিপুর গ্রামের ফজল মিয়া। এই মাটি দিয়ে তিনি তার বোনের বাড়ীর ভিটা বরাট করছেন। ২০ মার্চ রাতে বিষয়টি ফোনকলের মাধ্যমে কলকলিয়া ইউনিয়ন তহশিল অফিসে কর্তব্যরত কর্মকর্তা শিব্বির আহমদকে অবহিত করলেও এখনো তিনি এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি। তবে এখান থেকে মাটি কাটার অনুমতি কাউকে তহশিলদার দেননি বলেও জানিয়েছেন। তখান হতে মাটি কাটার ফলে নদীর তীর অরক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, স্থানীয় তহশিলদার শিব্বির আহমদ আমাকে বলেছেন, এখনতো রাত তার উপর কাল থেকে সরকারি ছুটি। এমতাবস্থায় তাঁহার কিছুই করার নেই। বিধায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ